পবিত্র হজ পালনের জন্য তিনটি ফরজ রয়েছে: (১) ইহরাম বাঁধা, (২) আরাফাতে অবস্থান, এবং (৩) তাওয়াফে জিয়ারত। এছাড়া, ওয়াজিব ও সুন্নত আমল রয়েছে যা হজের পূর্ণতা আনে। প্রত্যেক মুসলমানের উচিত হজের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখা।
১. ইহরাম বাঁধা
- মিকাত সীমান্তে পৌঁছানোর আগে ইহরামের কাপড় পরিধান করতে হয়।
- দুই রাকাত নামাজ আদায় করে হজের নিয়ত করতে হয়।
- তালবিয়া পাঠ করতে হয়: لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ…
২. মক্কায় প্রবেশ ও তাওয়াফ করা
- মসজিদুল হারামে প্রবেশ করে বাইতুল্লাহ (কাবা শরিফ) তাওয়াফ করতে হয় (৭ বার)।
- মাকামে ইব্রাহিমে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়।
৩. সাফা-মারওয়া সাঈ করা
- সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে ৭ বার হাঁটা (সাঈ) করতে হয়।
- দোয়া করা এবং জমজম কূপের পানি পান করা হয়।
৪. মিনার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া
- ৮ জিলহজ তারিখে মিনায় যাওয়া হয়।
- সেখানে রাতে অবস্থান করা হয় এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয়।
৫. আরাফাতের ময়দানে অবস্থান
- ৯ জিলহজ সকালে আরাফাত ময়দানে উপস্থিত হওয়া জরুরি।
- খুতবা শোনা, দোয়া ও ইবাদতে ব্যস্ত থাকা।
- আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতে থাকা ফরজ।
৬. মুজদালিফায় রাতযাপন
- সূর্যাস্তের পর আরাফাত থেকে মুজদালিফায় যাওয়া হয়।
- সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করা হয়।
- শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের জন্য ৭০টি পাথর সংগ্রহ করা হয়।
৭. শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ (রামি)
- ১০ জিলহজ সকালে জামারায় (শয়তান) প্রথম নিক্ষেপ করা হয় (৭টি পাথর)।
৮. কুরবানির আয়োজন
- শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের পর পশু কুরবানি করা হয়।
৯. মাথা মুণ্ডানো (হালক) বা চুল ছোট করা (কাসর)
- পুরুষদের মাথা মুন্ডন করা হয়, মহিলারা চুলের সামান্য অংশ কাটেন।
১০. তাওয়াফে জিয়ারত ও সাঈ
- মক্কায় ফিরে কাবা শরিফের তাওয়াফ করা হয়।
- সাফা-মারওয়া সাঈ পুনরায় সম্পন্ন করতে হয়।
১১. মিনায় অবস্থান ও শয়তানকে পুনরায় পাথর নিক্ষেপ
- ১১, ১২ ও ১৩ জিলহজ মিনায় অবস্থান করে জামারা আকাবা, উলা ও ওস্তা নামক তিনটি শয়তানকে প্রতিদিন ৭টি করে পাথর নিক্ষেপ করতে হয়।
১২. বিদায়ী তাওয়াফ
- মিনার কাজ শেষ হলে বিদায়ী তাওয়াফ করা হয়।
- মসজিদুল হারাম ত্যাগ করার আগে এটি করা সুন্নত।
